বন্যার পানির তোড়ে বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা সেতুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাঁধের যে অংশ ভেঙে গেছে, সেখানে মেরামতের কাজও চলছে বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ।
চলমান বন্যার মধ্যে গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব দক্ষিণের বাঁধে ধস দেখা দেয়, যা সেতুকে ঝুঁকিতে ঠেলে দিচ্ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছিল।
বৃহস্পতিবার সেতু বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, যমুনা নদীতে আকস্মিকভাবে স্রোতের গতি বেড়ে ঘূর্ণিপাকের সৃষ্টি হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে দুই কিলোমিটার এবং গাইড বাঁধ থেকে ৮০০ মিটার দূরে দক্ষিণে (ভাটিতে) পূর্ব তীরের ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি বাঁধ কিছুটা ভেঙে যায়।
এই ভাঙনের ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ‘কোনো সম্ভাবনা নেই’ জানিয়ে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভাঙা অংশ মেরামতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
পরে স্থায়ী মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
যমুনা নদীর উপর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু সেতুটি ১৯৯৮ সালে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হয়। একইসঙ্গে গাড়ি ও রেল পারাপারের এই সেতুটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম।
No comments:
Post a Comment
please dont any bad comments. its always helpful site,