Monday 12 June 2017

Pakutiya jomidar bari,tangail,dhaka,

পাকুটিয়া জমিদারবাড়ী

পাকুটিয়া জমিদার বাড়ী কমপ্লেক্স

ইতিহাস থেকে জানা যায় এককালে পশ্চিম বঙ্গের বাকুরা, মেদেনীপুর, বর্ধমান ও শাওতাল পরগনায় কিয়দংশ ও ছোট নাগপুরের অধিত্যক্তা ভূমির কিছু অংশ নিয়ে গঠিত বিষ্ণপুর থেকে প্রথমে রামকৃষ্ণ সাহা মন্ডল নামের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি প্রথমে ছনকায় পরে নদী ভাঙ্গনের কারণে হাড়িপাড়া হয়ে অপেক্ষাকৃত উচু ভূমি পাকুটিয়াতে বশত স্থাপন করেন। ইংরেজদের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে তাঁদের
জমিদারী শুরু হয়। এটি ঊনবিংশ শতাব্দীর ঠিক শুরুতে। রামকৃষ্ণ সাহা মন্ডলের দুই ছেলে বৃন্দাবন ও রাধা গোবিন্দ। রাধা গোবিন্দ নিঃসন্তান কিন্তুু বৃন্দাবন চন্দ্রের তিন ছেলে- ব্রজেন্দ্র মোহন , উপেন্দ্র মোহন এবং যোগেন্দ্র মোহন। এভাবে পাকুটিয়া জমিদারী তিনটি তরফে বিভক্ত ছিল। জমিদাররা সবাই ছিলেন প্রজানন্দিত। ১৯১৬ খ্রিঃ তাঁরা তাঁদের পিতা বৃন্দাবন এবং কাকা রাধা গোবিন্দের নামে বৃন্দবন চন্দ্র রাধা গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয় (বিসিআরজি) প্রতিষ্ঠা করেন। ডঃ এ,আর মল্লিক, সাবেক প্রধান মন্ত্রী আতাউর রহমান খান ভবা পাগলা প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কৃতি সন্তান ছিলেন। বর্তমান প্রধান তিনটি স্থাপনাই অপূর্ব শিল্প সুষমমন্ডিত। পাশ্চত্তীয় শিল্প সংস্কৃতি সমৃদ্ধ মনের মাধুরী মিশিয়ে স্থাপত্য মূল্যের এক অনন্য সৃষ্টি তাদের এই অট্টালিকা। তিনটি বাড়ীর সামনেই তিনটি নাট মন্দির। বড় তরফের পূজা মন্ডপের শিল্পিত কারুকাজ শতবছর পর এখনও আমাদের মুগ্ধ করে। দেশ বিভাগের পরে তৎকালীন সরকার কর্তৃক পুরো সম্পদ অধিগ্রহণের পর জমিদারদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের নিদর্শন স্বরূপ ১৯৬৭ সালে এই সম্পদের উপর গড়ে তোলা হয় বিসিআরজি ডিগ্রী কলেজ।
কিভাবে যাওয়া যায়:
টাংগাইল হতে সিএনজি যোগে দেলদুয়ার হয়ে পাকুটিয়া জমিদারবাড়ী।
অবস্থান:
পাকুটিয়া, নাগরপুর, টাংগাইল।











No comments:

Post a Comment

please dont any bad comments. its always helpful site,